দক্ষিণ কোরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন দেশটির উদারপন্থী রাজনীতিবিদ মুন জায়ে-ইন। এর আগে ২০১২ সালে কারাগারে থাকা সদ্যবিদায়ী প্রেসিডেন্ট পার্কের কাছে অল্প ভোটে হেরে গিয়েছিলেন তিনি।
আজ বুধবার রাজধানী সিউলের পার্লামেন্ট ভবনের রোটান্ডা হলে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দেশের ১৯ তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে সদ্যনির্বাচিত মুন শপথ গ্রহণ করেন।
ব্যাপক দুর্নীতি কেলেঙ্কারির মুখে সাবেক প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের পর অনুষ্ঠিত আগাম নির্বাচনে মুন জায়ে-ইন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে বিরাজমান তীব্র উত্তেজনা ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যেই দক্ষিণ কোরিয়ায় এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিবিসি জানায়, নির্বাচনে ৪১.০৮ শতাংশ ভোট পেয়েছেন মুন জায়ে ইন। তাঁর পক্ষে ভোট দিয়েছেন মোট এক কোটি ৩১ লাখ ২৩ হাজার ৮ শ ভোটার। মুনের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লিবার্টি কোরিয়া পার্টির হং জুন পিয়ো পেয়েছেন ২৫.৫ শতাংশ ভোট।
দেশে ঐক্য প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি উত্তর কোরিয়া সফর করা এবং চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও বিতর্কিত ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন নতুন প্রেসিডেন্ট মুন। পদত্যাগে বাধ্য হওয়া সাবেক প্রেসিডেন্ট পার্ক জেয়ুন হাই এর নীতির বিপরীতে মুন জায়ে-ইন উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি করতে চান।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে দেশটির প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন ৬৫ বছর বয়সী পার্ক গিউন-হাই। এরপর থেকেই তার বিরুদ্ধে সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠে। পার্কের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ, নিজ ক্ষমতার অধীনে তিনি তার বন্ধুকে দুর্নীতি করার সুযোগ করে দেন।
পার্ক গিউন-হাইয়ের বন্ধু চোই সুন-সিল প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সম্পর্কের সুবাদে অর্ধশতাধিক প্রতিষ্ঠান থেকে অনুদানের নামে ৬৫.৫ মিলিয়ন ডলার হাতিয়ে নেন। এর মধ্যে স্যামসাং এবং হুন্দাইয়ের মতো কম্পানিও রয়েছে। এই অভিযোগ প্রমাণিত হলে ১০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে পার্কের।
এই অভিযোগেই গত ১০ মার্চ পার্লামেন্টে অভিশংসিত হন পার্ক। তখনই আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়া হয়। ৩০ মার্চ আদালতের আদেশে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ১৭ এপ্রিল সাংবিধানিক আদালতে চূড়ান্তভাবে ক্ষমতাচ্যুত হন পার্ক।
প্রতিক্ষণ/এডি/সাই